• ঢাকা রোববার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১
logo
সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ ডিসিসিআই’র
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পরামর্শ দিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের কোনো বিকল্প নেই। শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকারি ব্যয় ২০ শতাংশ কমানো হলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে যেমন কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এছাড়া এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মতো প্রকল্প শেষ করার বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। তাসকীন আহমেদ বলেন, কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা পরবর্তী পটপরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজন হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে। এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই। তবে ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন। এতে বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক কর কাঠামো পেলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন। সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনটা হলে মোটেই কাম্য নয়। এতে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার বিষয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে। এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে। আরটিভি/এমএ-টি
৭ ঘণ্টা আগে

সরকারি চাকরিজীবীদের কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
প্রথমবারের মতো গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এতে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বাড়তে পারে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে একটি প্রস্তাবের খসড়া চূড়ান্ত করেছে, যা অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি দিলেই সরকারি চাকরিজীবীদের এই ভাতা দেওয়া হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৩ নম্বর গ্রেডে মহার্ঘ ভাতা হবে মূল বেতনের ১০ শতাংশ, ৪ থেকে ১০ নম্বর গ্রেডের চাকরিজীবীরা পাবেন ২০ শতাংশ, আর ১১ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডধারীরা ২৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এতে সর্বনিম্ন ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বাড়তে পারে। তবে স্কেলের পার্থক্য থাকলেও ৪ হাজার টাকার কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন না কেউ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেনশনে থাকা কর্মকর্তা-কমর্চারীরাও মহার্ঘ ভাতা পাবেন। তবে মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হওয়ার পর আগের সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধাটি আর বহাল থাকবে না। এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনা কমিটির সদস্য মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের আগেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তিনি জানান, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে দুটি সভা হয়েছে। এবার পেনশনারদেরও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। এবার যারা মহার্ঘ ভাতা পাবেন ইনক্রিমেন্টের সময় সেই ভাতা বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে। প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় কুলিয়ে ওঠার জন্য যে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়, তাকে মহার্ঘ ভাতা বলা হয়। এতে মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতকরা অংশ বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত দেওয়া হয়। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়বে। আরটিভি/এসএপি/এআর
১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৪

সরকারি চাকরিজীবীদের সুখবর দিলেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের আগেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। মহার্ঘ ভাতা পর্যালোচনায় হওয়া কমিটির সদস্য তিনি। মো. মোখলেস উর রহমান জানান, আগামী ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা আসবে। তবে কত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতা নিয়ে দুটি সভা হয়েছে। এবার পেনশনারদেরও মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। এবার যারা মহার্ঘ ভাতা পাবেন ইনক্রিমেন্টের সময় সেই ভাতা বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে।’ তবে, মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পরেও সরকারি কর্মচারীদের জন্য বর্তমানে চালু থাকা পাঁচ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি জনপ্রশাসন সচিব।  প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় কুলিয়ে ওঠার জন্য যে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়, তাকে মহার্ঘ ভাতা বলা হয়। এতে মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতকরা অংশ বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত দেওয়া হয়। অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়বে। আরটিভি/এসএপি/এস
০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৩

সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
সম্প্রতি টাইমস অ্যালজেব্রা নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার’ এমনটি দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে জানিয়েছে চিফ অ্যাডভাইজার (সিএ) প্রেস উইং ফ্যাক্টস। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করে না। পোস্টে উল্লিখিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার উদ্ধৃতিটিও মিথ্যা। টাইমস আলজেব্রার ওই পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাস করা নতুন এক সরকারি আদেশে কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চ পদে যোগদানে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদে দেড় হাজারের বেশি হিন্দু প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। আরটিভি/এসএপি/এস  
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৫

আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সরকারের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ৩০এ নম্বর বিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনও বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনও সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা-বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, জনসেবা প্রদান এবং রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ‘ইদানীং লক্ষ করা যাচ্ছে, সরকারের কোনও কোনও সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি।’ এতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর ৩০এ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মচারী— (এ) সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করিতে বা যেকোনও প্রকারে বাধা প্রদান করিতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনও ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করিতে পারবেন না। (বি) সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনও অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না। (সি) সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনও সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না। (ডি) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনও শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বুঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করিতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে বা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনও বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনও সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনও বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা-বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। চাকরির বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মঙ্গলবার একজন উপসচিবকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আরটিভি/একে
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৭

আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধনসহ কিছু কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই সরকারি আচরণবিধিমালা লঙ্ঘন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এতে বলা হয়, জনসেবা প্রদান ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিবিধ কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে যা ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর পরিপন্থি। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০ নং বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে— (এ) কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যেকোনো প্রকারে বাধা প্রদান করতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না। (বি) সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারিবেন না। (সি) সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না। (ডি) সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনো শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বুঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে বা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন না। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯— এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আরটিভি/এফএ/এআর
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

ফের বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমার সময়
দেশের সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর তথ্য সিলগালাকৃত খামে কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিলের সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতির লাগাম টানতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯, যা ২০০২-এ সংশোধনী এনে ১৫ লাখ কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় নিয়ে আসা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার সময় ছিল। পরে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আরটিভি/এসএপি-টি
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৫

সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা 
রাজধানীর পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  রোববার (২৪ নভেম্বর) কলেজের অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর কলেজের সকল শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।  এদিকে, বন্ধের নোটিশ উপেক্ষা করেই সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকেই কলেজ গেটে অবস্থান নিতে থাকে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুলসহ সাত কলেজের হাজারও শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ডেমরায় অবস্থিত মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। এ ঘটনায় মোল্লা কলেজের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল ন্যাশনাল মেডিকেল, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালায় মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। যার জেরে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আরটিভি/আইএম/এস
২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়